সজীব হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাঃ সাজিয়া খান (বিপাশা) তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। আহত সজীব হোসেন উপজেলার জোতরাঘব বিএম কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আটক রাকিব হোসেন ও শাকিব হোসেন স্থানীয় কারিগরি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বাঘা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে সজীব হোসেন (২০), একই গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে রাকিব হোসেন (১৬) এবং সাইফুল ইসলামের ছেলে শাকিব হোসেন (১৭) আমবাগানে বারুদ নিয়ে বোমা,পটকা অথবা ককটেল বানানোর সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় সজীব হোসেনের বাঁ হাতের আঙুল ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তাঁর সহযোগী রাকিব হোসেন ও শাকিব হোসেন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সজীব,রাকিব ও শাকিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আহত সজীব হোসেনের বাবা জয়নাল হোসেন জানান,ঈদকে সামনে রেখে আনন্দ করার জন্য দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পটকা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়ে তাঁর ছেলের হাত বিছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁরা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এটা করেননি বলে তিনি দাবি করেন।
হাসপাতালে আহত শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন,শখের বশে পটকা তৈরির চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য ঘরের পর্দা টাঙানোর পাইপ ছোট করে কেটে নিয়ে এর ভেতরে বারুদ ঢুকিয়ে অপর মুখ হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি দিয়ে বন্ধ করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। গত বছরেও আমরা বানিয়ে ফুটিয়েছি। আমাদের কোন উদ্দেশ্য ছিল না।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পর্দা টাঙানোর পাইপের অংশবিশেষ ও অনেকগুলো দিয়াশলাই উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁরা দিয়াশলাইয়ের কাঠির বারুদ ওই পাইপের মধ্যে ভরেছিলেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ঘটনার সঙ্গে থাকা দুজনকে হাসপাতাল থেকে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টি তদন্তের পরে নিশ্চিত করা যাবে।