নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহষ্প্রতিবার(১৬অক্টোবর) বিকালে ফরিদপুর উপজেলার মঙ্গলগ্রাম বাজারে জনসম্মুখে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় চরমপন্থী সদস্য আব্দুল মতিন (৪৬) কে। উক্ত হত্যাকান্ড বিষয়ে পুলিশ কাউকে সনাক্ত করতে পারে নি এমনকি ১৯ অক্টোবর (রবিবার) সকাল পর্যন্ত ফরিদপুর থানায় কোন মামলা দায়ের হয় নি। প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘটিত হত্যাকান্ড নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এমন ভূমিকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে ফরিদপুর উপজেলাের মঙ্গলবার ও পার্শবর্তী ধুলাউড়ি ইউনিয়নে। চরমপন্থী সদস্য আব্দুল মতিন হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, সুস্থ জীবন যাপনের অঙ্গীকার নিয়ে ২১মে ২০২৩ সালে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলস্থ র্যাব -১২' র কার্যালয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নিকট আত্মসমর্পণ করে পাবনার জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি এলাকার প্রায় ১ ডজন চরমপন্থী সদস্য। আত্মসমর্পণকৃত চরমপন্থীদের মধ্য থেকে জাকিরুল,বোমারু জানে আলম,রবিউল,কিলার চন্টু,বাবু,শামসু, রফিক',বোম মিলন,পিস্তল তারেক,বোম মাবুল,শামসুল ও রফিকুল 'রা আত্মসমর্পণ করলেও তারা স্বাভাবিক জীবনে ফেরেনি বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।
জানা যায়, ২০০৭ সাল থেকে চরমপন্থী চক্রের সাথে জড়িত জানে আলম ও তার গ্যাং। তখন থেকে নিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছরে তাদের নেতৃত্বে ও যোগসাজশে সাঁথিয়া ও ফরিদপুর এলাকায় প্রায় ১৮টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। ২০১৬ সালে বোমারু জানে আলম তার দুই অনুসারী শামসুল ও রফিকুল সহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গ্রেফতার হলে এই বাহিনীর দাপট অনেক টা কমে যায়। তবে জামিনে কারামুক্তির পর তারা আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। জানা যায়, শুধুমাত্র প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতেই তারা লোক দেখানো আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণ করলেও পূর্বের মতই চলতে থাকে তাদের শোষণ, নিপীড়ন, অত্যাচার,চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার। এমনকি ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সংঘটিত চরমপন্থী সদস্য আব্দুল মতিন হত্যাকান্ডও এর ব্যতিক্রম নয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি হাঁট, মঙ্গলগ্রাম বাজার ও বিলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আত্মসমর্পণকৃত চরমপন্থীদের মধ্যে বিতর্ক চলছিল। সেই বিতর্কের জেরে ১৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকালে চরমপন্থী সদস্য জানে আলম, জাকিরুল,চন্টু, বাবু,রবিউল, শামসু ও রফিকদের হামলায় নিহত হয় একসময়ের দাপুটে জনযুদ্ধ নেতা চরমপন্থী সদস্য আব্দুল মতিন। তবে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হলেও চরমপন্থী জানে আলম গ্রুপের ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না, এমনকি এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় অত্র এলাকায় সার্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পাবনা জেলা পুলিশ সুপার, পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব -১২ কর্মকর্তা বৃন্দ, ফরিদপুর ও সাঁথিয়া থানা পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন অত্র এলাকার শান্তিকামী জনগণ।
