নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর বাঘায় মাছের আড়তে মাছের পাইকারি সরবরাহ কমায় বেড়েছে মাছের দাম।বিভিন্ন জাতের প্রকারভেদে প্রতি কেজি মাছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।কয়েকদিন ধরে খারাপ আবহাওয়ায় মাছ ধরতে না পারায় দাম বেশি বলে জানান মাছ চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
সপ্তাহ জুড়েই হালকা থেকে মাঝারি ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় বাঘায় পুকুর-জলাশয়ে মাছ ধরা ব্যাহত  রয়েছে। ফলে মাছের সরবরাহ কমেছে আড়ত গুলোতে। অল্প পরিমাণে মিলছে রুই, কাতল, মৃগেল সিলভার,পাঙ্গাস বাটা, মিনার (টেম্পু), তেলাপিয়াসহ কিছু দেশীয় মাছ।
সরবরাহ কমায় প্রভাব পড়েছে দামে। প্রকারভেদে প্রতি কেজি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা অতিরিক্ত দামে। এই বিরুপ আবহাওয়ায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে দূর-দুরান্ত থেকে কষ্ট করে পাইকার যারা এসেছে মাছের সরবরাহ কম থাকায় কাঙ্খিত দামে কিনতে পারছেন না তারা।ফলে অনেক পাইকারকে খালী ফেরত যেতে দেখা গেছে। নিয়মিত পাইকার মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া খারাপ থাকায় মাছ চাষিরা মাছ ধরছেন না। তাই মাছের আমদানি কম আর যে পরিমাণ আমদানি হয়েছে তাতে দামও বেশী।
একজন সফল মাছ চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে,বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা এই সময়ে মাছ ধরতে আসতে না চাওয়ায় মাছ ধরা বন্ধ রেখেছি। বাঘা বাজারের খুচরা মাছ ব্যবসায়ী আমিরুল,সাইফুল, দবীর,মিঠন বলেন, বর্তমানে বাজারে মাছের দাম বেশি কারণ, আড়তে মাছের আমদানি কম। এছাড়াও আড়তে যে মাছ আসে তাও আবার ঢাকা, চিটাগং,কুমিল্লা,বরিশাল থেকে আসা ব্যাপারীরা গাড়ী করার জন্য নিয়ে যায়। শহিদুল মৎস্য আড়তের বজলু সরকার বলেন,আড়তে মাছের আমদানি কম থাকায় দাম একটু বেশি। 
এদিকে, লকডাউনের কারণে দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার না আসায় এবং মৎস্য চাষী যারা তারা মাছ ধরতে না পারায় আড়ৎ গুলোতে  মাছের আমদানি কম।ফলে কাঁচামাল আমদানি কম হলে দাম এমনিতেই বেড়েছে যায় বলে জানান শহিদুল মৎস্য আড়তের প্রোঃ মামুন হোসেন।
উল্লেখ্য, এখানে প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয় বাঘা বাজারের পাইকারি আড়তে।
Tags
ব্যবসা
