আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা পৌরসভার এক কাউন্সিলরের ছত্রছায়ায় জোড়পূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমনটি দাবি করেন আবুল হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গাইবান্ধা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল হোসেন এর নির্দেশে বিপ্লব মিয়া, পিপুল মিয়া, হাছেন আলী, হোসেন আলী, খলিল মিয়া, সাজু মিয়া, আব্দুল জলিল মিয়াসহ আরও ২০ থেকে ২৫ জন দীর্ঘদিন থেকে জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। এই ব্যাপারে কাউন্সিলর কামাল হোসেনকে একাধিকবার বিষয়টি নিষ্পত্তির কথা বললেও তিনি উল্টা আমাদেরকেই নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এবং বিভিন্ন মাস্তান দ্বারা নানা সময় হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এবং আমাদের চলাচলের রাস্তায় মাস্তান দ্বারা নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। একই সাথে উক্ত জমি তিনি ৫০ হাজার টাকা শতকে ক্রয়ের প্রস্তাব দেন।
তিনি আরও উল্লেখ করা হয়, আবুল হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত জমি ভোগ দখল করিয়া আসছে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়া আবুল হোসেন বাদি হয়ে আদালতে মামলাও করেছেন। যার নম্বর: ৪২৮/২০২৩, তারিখ,৪/৬/২০২৩, ধারা-১৪৪/১৪৫। মামলাটির আদেশ অমান্য করিলে আবুল মিয়া গত ২/১০/২০২৩ তারিখে বাদী হইয়া পুনরায় ১৮৮ ধারায় মামলা করেন। এই মামলাটিরও আদেশ অমান্য করে আসামীরা জমিতে প্রবেশ করিয়া ঘর তোলার চেষ্টা করে এবং আসামীরা লাঠি লোহার রড, বেকি দা কুড়াল, জোড়াসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে এলোপাথারীভাবে আবুল হোসেন ও তাদের লোকজনের উপর আক্রমণ করে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করিয়া মারধর করে। এবং ঘরের দামী আসবাবপত্র ভাংচুর এবং দেড় লাখ নগদ টাকা ও ৮ আনা ওজনের স্বর্নালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। আসামীদের জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে ৯৯৯ নাম্বারে অভিযোগ দিয়েও পুলিশকে পাওয়া যায় নাই। এমনকি গাইবান্ধার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। পরে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু তদন্তের পরেও পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করেনি।সাংবাদিকদের মাধ্যমে ন্যায় বিচার এবং অভিযুক্ত কাউন্সিলর কামাল হোসেন ও তার লেলিয়ে দেয়া মাস্তান বাহিনীর শাস্তি দাবি করেন আবুল হোসেন।
জমিজমা সংক্রান্ত এ ঘটনায় বিবাদীপক্ষের খলিল, জলিল, হাসেন, হোসেন ও সাজু বলেন, এসব জমি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে কেনা। আমাদের জমিতে আমরা বসবাস করছি। উপরন্তু আবুল হোসেনসহ তার লোকজনরা অামাদের উপর হামলার চেষ্টা করেছে। প্রকৃতপক্ষে ১৫ ডিসেম্বর মারামারি, গলায় ছুরি ধরা, হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, লুটপাট বা কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যা এলাকার লোকজন স্বাক্ষী দেবে। এদিন সদর থানার পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রকৃত সত্য এই যে, এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাউন্সিলর কামাল হোসেনের বাসায় দুই দফায় মিটিং হয়। মিটিংয়ে অাবুল হোসেন ও তার লোকজন কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এজন্য কাউন্সিলরকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সদর থানায় তিন-চারবার মিটিং ডাকা হলেও তারা কেউই উপস্থিত হননি। তাদের কাগজপত্র ঠিক নেই বিধায় তারা কোন মিটিংয়ে তাদের কাগজপত্র দেখাতে পারছেন না ও উপস্থিত হচ্ছেন না। আবুল হোসেন ও তার লোকজন মিথ্যা হামলা-মামলার অভিযোগ করে প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন এবং হয়রানী করছেন।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল হোসেন মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ভূয়া ও ভিত্তিহীন।
