স্টাফ রিপোর্টারঃ অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হলেও মায়ের ভিক্ষার টাকায় চলে মাদক বিক্র ও সেবন।
স্ত্রী বাঁধা দিলেই কপালে জোটে বর্বরোচিত নির্যাতন। বৈবাহিক জীবনে ৪ কণ্যা সন্তানের জনক-জননী তারা। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেক অত্যাচার সর্য্য করে সংসার করছেন ওই গৃহবধূ। ধিরে ধিরে মেয়েরা বড় হচ্ছে তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অবৈধ মাদক ব্যাবসা বন্ধ করতে স্বামী কে বার বার বাঁধা দিয়েও ব্যার্থ হয়েছেন ওই নারী। পরিবারের আয় বাড়াতে স্বামী কে সৎপথে ফেরাতে গিয়ে অনেক নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন তিনি। সব শেষ গত শনিবার (১৬ মার্চ)
আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদক পরিমাপের বাটখারা হারিয়ে যাওয়ায় ওই নারীকে বেধড়ক মারপিট করেন তার স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের অমরপুর পূর্ব পাড়া এলাকায়।
বর্বরোচিত নির্যাতনকারী মাদক কারবারি ও সেবনকারীর নাম রাশিদুল ইসলাম (৩০)।সে মৃত ইমাজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় অসমর্থিত তথ্য সুত্রে জানা যায়, শুধু রাশিদুল ইসলাম নয় এ এলাকায় আরও অন্তত ১০ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি রয়েছে। এ সব মাদক কারবারিরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। প্রতিদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বসে মাদকের আখড়া,এতে যুক্ত হয় নানান বয়সের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এ সকল আখড়ায় হরহামেশাই মেলে গাঁজা, ইয়াবা,হেরোইন এবং ফেন্সিডিল।
রাত দিন সমানে চলছে মাদকের রমরমা বেচা-কেনা। ক্রেতার তালিকায় রয়েছে কিশোর,যুবক এবং বয়োবৃদ্ধরাও। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এ এলাকার কিশোর এবং যুবকরা।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান,দীর্ঘ দিন যাবৎ তার শাশুড়ির পরামর্শে তার স্বামী রাশিদুল তাকে অসহনীয় নির্যাতন করে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তিনি তার স্বামী কে ফেরাতে পারেননি মাদক থেকে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মাদক সেবন করে এসে বাটখারা হারিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তার স্বামী রাশিদুল তাকে মেহগনির কাঁচা ডাল দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। আর এর জন্য তিনি অন্য মাদক কারবারি ও এলাকার মানুষের খারাপ মনোভাব কে দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে তার স্বামী ও শাশুড়ী কে অভিযুক্ত করে বাঘা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) কামরুজ্জামান বলেন,অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
