বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটে গত ২৪ ঘন্টায় ২২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১৬ জন ও মৃত্যু
হয়েছে ০৫ জনের। জেলা স্বাস্হ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
দাঁড়ালো ৩ হাজার ২৯৯ জনে, মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের । সুস্থ্য হয়েছে ২হাজার ২০০শ ৮৪ জন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাট জেলায় লকডাউন
চললেও করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার বাগেরহাটে ২২৫ জনের
নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বাগেরহাট সদর
উপজেলায় ০৩ জন, মোড়লগঞ্জ ১ জন ও রামপাল ০১জন।
এদিকে, বাগেরহাটে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় সাতদিনের
লকডাউন ৬ষ্ঠ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। ছয় দিন ধরে দোকানপাট, শপিংমল ও অভ্যন্তরীণ ১৬টি
রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের বাড়িতে রাখতে এবং বাইরে বেরোনো মানুষদের
স্বাস্হ্যবিধি পালনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। স্বাস্হ্যবিধি না মানলে এবং
অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসলে তাদের জরিমানা করছে তারা। গত ০৫ দিনে স্বাস্হ্যবিধি না
মানায় ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৯৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময়ে মামলা করে
২৭৯ জনের বিরুদ্ধে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোহাম্মদ শাহজাহান
বলেন, বাগেরহাটে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। লোকজন করোনা
স্বাস্হ্যবিধি না মেনে অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসছেন এবং স্বাস্হ্যবিধি প্রতিপালন
করছেন না তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ জরিমানা করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে বাগেরহাটের
বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিদিনই কঠোর নজরদারি করছে। সবাইকে স্বাস্হ্যবিধি
মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক করোনা সংক্রম ঠেকাতে লকডাউনের প্রথমদিন
থেকে নিজেই মাঠে রয়েছেন। একারনে বাগেরহাটের প্রবেশ দ্বারের পুলিশ চেক পোষ্ট গুলো বেশ
কড়া কড়ি ভাবে অপ্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হচ্ছে । পুলিশের একাধিক দল
জেলার সর্বত্র টহল দিচ্ছে। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তৃতীয় লিঙ্গ সহ অসহায় দু:স্থ
মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।এদিকে
বাগেরহাট রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট হাসপাতালে ভর্তি রোগীর স্বজন,মানষিক প্রতিবন্ধী, বেকার মোটর শ্রমিক ও দরিদ্র অসহায় ৩০০ জনের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরন,অটোরিক্সা,অটো ভ্যানচালক,ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীদের মধ্যে মাক্স ও স্যানিটাইজার বিতরণ সহ অক্সিজেন নিয়ে রোগীর বাড়িতে পৌঁছে চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।।
