নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফ ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের। তাদের উপর মিথ্যা হয়রানির মামলা থেকে অব্যাহতি ও ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
উল্লেখ্য গত ১০ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) চারঘাটের ইউসুফপুর ইউনিয়নের কান্ধিপাড়া গ্রামে কচুখেত থেকে শান্ত আলী (১৭) নামে এক যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ । নিহত ওই যুবক উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের কান্ধিপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলীর দ্বিতীয় ছেলে। পরে শান্তর পিতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলী বাদী হয়ে চারঘাট মডেল থানায় ৮ জন সহ অজ্ঞাত কয়েক জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যা চলমান। মামলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের নাম উল্লেখ করেছেন এমন অভিযোগ আসামীদের পরিবারের।
ভুক্তোভোগীরা আরো বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে নিহত শান্তর বড় ভাই অন্তরসহ আরো ১৫ -২০ জন মিলে ব্যবসা বানিজ্যের জের ধরে আসিকুর রহমানকে লাঠিসোটা রড দিয়ে অনেক মারধোর করে। একপর্যায়ে আসিকুর রহমান প্রাণে বেঁচে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরের দিন আসিকুর সহ তার পক্ষের কয়েকজন মিলে অন্তরের বাড়ি তেড়ে যায়। শান্তর বড় ভাই অন্তর না থাকায় তারা গালিগালাজ করে ফিরে আসে। তারা আরো বলেন ব্যবসার একক আধিপত্য বিস্তার করতেই এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এতে ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা হল ইউসুফপুর (পশ্চিম পাড়) মহল্লার জিয়ারত আলীর ছেলে আশিকুর রহমান (৩৫), সিপাইপাড়া এলাকার মৃত ইব্রাহিমের ছেলে আরিফুল ইসলাম বালু (৩৫), ইউসুফপুর (পশ্চিম পাড়) এলাকার মৃত মোসলেম প্রামানিকের ছেল মোঃ মাসুদ (৪০), একই এলাকার মৃত মোসলেম আলীর ছেলে মাইনুল ইসলাম ওরফে (পাখরা) (৪৬), ইউসুফপুর পশ্চিম পাড়া এলাকার মোঃ এনামুলের ছেলে মোঃ রাজ (২৭), টাংগন এলাকার আঃ হামেদের ছেলে মোঃ আঃ হালিম, টাংগন (পূর্ব পাড়া) এলাকার মোঃ আজিজুল হকের ছেলে মোঃ জসিম (৩১), সিপাইপাড়া এলাকার ওয়াজেদ আলীর ছেলে মোঃ পারভেজ ইসলাম কে এই মামলায় আসামী করে। পরে তাদের কয়েকজন উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিনে মুক্তি পায় ।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে মিডিয়া কর্মীর একটি টিম তথ্য অনুসন্ধানে নামে। তথ্য অনুসন্ধানে গেলে ঘটনাটা অনেকটায় পরিষ্কার হয় মিডিয়া কর্মীর কাছে। ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা বলেন , শান্ত আলী হত্যা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এটা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে হয়রানী করার জন্যই আসামি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার। সেই সাথে এই হয়রানির মামলা প্রত্যাহার ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) শাহনেওয়াজ সজল এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। আসামী যাদের করেছে তাদের কয়েকজনকে ধরা হয়েছে। বাঁকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো বলেন তদন্তের স্বারর্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না তদন্ত শেষ হলেই আসল অপরাধীকে সেটা বেরিয়ে আসবে।