নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর বাঘায় কোনো ইস্যু ছাড়াই মিছিল করেছে জামাত-শিবির।এমন খবর পেয়ে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে তারা। এ ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ৭ জন জামাত কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-আড়পাড়া গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন (৩০), হাবাসপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫), খায়েরহাট গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৪১), ঢাকাচন্দ্রগাথী গামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী (৬০), জোতরাঘব গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে খোসবুর রহমান (৩৮), জোতনশী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নাফ (৩০), চন্ডিপুর গ্রামের মাজদার রহমানের ছেলে নাসির উদ্দিন (৪৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে বাঘা মাজার এলাকায় কোনো ইস্যু ছাড়া প্রায় ৫০-৬০ জন জামাত-শিবির মিছিল করছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে তারা মিছিল বের করে বাঘা বাজারের দিকে আসতে থাকে। এ সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় বাঘা থানা পুলিশের উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক এ.এস.আই আব্দুর রহিম, এ.এস.আই মন্টু মিয়া এবং কনস্টেবল আব্দুল আহাদ, হারুনুর রশিদ ও প্রদীপ-সহ পাঁচজন আহত হন।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মদের লাইসিন্স বাতিলের দাবিতে বাঘা জিরো পয়েন্ট থেকে বাঘা বাজার এলাকায় একটি মিছিল বের করি। এ সময় পুলিশ আমাদের ধাওয়া করে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান,নাশকতার উদ্দেশ্যে বাঘা মাজার এলাকায় জামাত-শিবির গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে তারা মিছিল বের করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালানোসহ ইট-পাটকেল ও একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় জামায়াত শিবিরের ৭ জন কর্মীকে আটক করেন পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় নাশকতা মামলা রুজু প্রক্রিয়াধিন। বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।
Tags
ইসলাম