বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ২৪ আগস্ট মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিন দিন চিকিৎসাধীন থেকে ২৪ আগস্ট মারা যান তিনি।
মৃত্যুবরণকারী বিশিষ্ট নারীনেত্রী আইভি রহমান স্মরণে রাজশাহীর বাঘায় আলোচনা,দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ আগষ্ট)বিকেলে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে নারায়ণপুর ইউনাইটেড ক্লাব প্রাঙ্গনে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগ সভাপতি পাপিয়া আক্তার(পাপড়ি) সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,প্রভাষক ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, বাঘা শাহদৌলা কলেজের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন শ্যাম্পু,বাঘা উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাধক দোলেনা শেখ প্রমুখ।
বক্তাগণ প্রয়াত নারীনেত্রী আইভি রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক দর্শন ও দলীয় আনুগত্য-ত্যাগের মূল্যায়নের ওপর আলোকপাত করেন।
এ সময় প্রধান অতিথি আক্কাছ আলী বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সকল হত্যাকান্ড ও বিভিষিকাময় দিনগুলির স্বরনিয় ঘটনার বর্ননা তুলে ধরেন । তিনি বলেন,
স্বাধিনতা বিরোধিচক্ররা, যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে ভেবেছিলো তারা বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলবে । কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? সেদিনে বিদেশে ( জার্মান) অবস্থান করায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও ছোট শেখ রেহানা।
খুনিরা যখন এদেশ কে একটি ব্যার্থ রাষ্ট্রে রুপান্তরিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত,বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামীলীগ যখন চরম বিপর্যয়ে ঠিক সেই সময়ে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ কন্যা শেখহাসিনা এসে দলের হাল ধরেন । তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বেই দল দির্ঘ ২৩ বছর পর ক্ষমতায় আসেন । এরপর ঘাতকচক্র আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় । ২০০১ সালে চক্রান্তের নির্বাচনে আবার আওয়ামিীলীগকে ক্ষমতাচ্যূৎ করা হয়। ক্ষমতায় আসিন হয়ে তৎকালিন জোট সরকার জামাত বিএনপির পোষ্য খুনিরা নেত্রীকে হত্যা করতে মরিয়া হয়ে পড়ে । একবার নয়, দুবার নয়, ১৯ বার আমাদের প্রানপ্রীয় নেত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালায়। কখনও গাড়িতে হামলা, কখনও ট্রেনে হামলা, কখনওবা জনসভায় হামলা, এভাবে একের পর এক হামলা চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটানোর নীল নকশা আঁকে । কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের নেত্রীকে সকল আঘাত ব্যার্থ করে তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
স্বাধিনতা বিরোধিচক্ররা, যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মম ভাবে হত্যা করে ভেবেছিলো তারা বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলবে । কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে? সেদিনে বিদেশে ( জার্মান) অবস্থান করায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও ছোট শেখ রেহানা।
খুনিরা যখন এদেশ কে একটি ব্যার্থ রাষ্ট্রে রুপান্তরিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত,বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামীলীগ যখন চরম বিপর্যয়ে ঠিক সেই সময়ে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ কন্যা শেখহাসিনা এসে দলের হাল ধরেন । তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বেই দল দির্ঘ ২৩ বছর পর ক্ষমতায় আসেন । এরপর ঘাতকচক্র আবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় । ২০০১ সালে চক্রান্তের নির্বাচনে আবার আওয়ামিীলীগকে ক্ষমতাচ্যূৎ করা হয়। ক্ষমতায় আসিন হয়ে তৎকালিন জোট সরকার জামাত বিএনপির পোষ্য খুনিরা নেত্রীকে হত্যা করতে মরিয়া হয়ে পড়ে । একবার নয়, দুবার নয়, ১৯ বার আমাদের প্রানপ্রীয় নেত্রীকে হত্যা চেষ্টা চালায়। কখনও গাড়িতে হামলা, কখনও ট্রেনে হামলা, কখনওবা জনসভায় হামলা, এভাবে একের পর এক হামলা চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটানোর নীল নকশা আঁকে । কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের নেত্রীকে সকল আঘাত ব্যার্থ করে তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
আপনারা পত্রপত্রিকাসহ টেলিভিশন মিডিয়ায় দেখেছেন, নেত্রীকে সহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের হত্যা করতে ২০০৪ সালের এই দিনে তৎকালিন জামাত বিএনপির জোট সরকারের পৃষ্টপোষকতায় ঢাকার জনসভায় গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিলো । সেদিন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিবৃন্দ নিজ নিজ জীবন বাজি রেখে মানবঢাল তৈরী করে নেত্রীকে বাঁচিয়ে রাখে ।
ঘাতকদের নৃশংস হামলায় সেদিন নেত্রী প্রানে বাঁচলেও গ্রেনেডের স্প্লীন্টারের আঘাতে আওয়ামীলীগ হারায় আইভি রহমান সহ ২৪ জন নেতাকর্মিকে । প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন আইভি রহমান।
তিনি বলেন,পারিবারিকভাবে আইভি রহমান ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট আত্বীয়। তার বড় বোন সামসুন্নাহার সিদ্দিকা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানার শাশুড়ি। এছাড়াও আইভি রহমানের বিয়ের সাক্ষী ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
আইভি রহমান ১৯৪৪ সালের ৭ জুলাই ভৈরব শহরের চণ্ডিবের এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার নাম জেবুন্নেছা আইভি। ১৯৫৮ সালের ২৭ জুন নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে ভৈরব নিবাসি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তার নামের সঙ্গে যুক্ত করেন রহমান। তার বাবা জালাল উদ্দিন ছিলেন তৎকালীন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ। মা হাসিনা বেগম ছিলেন গৃহিণী। ৮ বোন ৪ ভাইয়ের মধ্য আইভি রহমান ছিলেন পঞ্চম। ১৯৭১ সালে আইভি রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগ সদস্য এবং ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। সেদিনের আঘাতে আহত হয়ে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ আগষ্ট তিনি মৃত্যুবরন করেন ।
তিনি আরও বলেন, এদেশের স্বাধিনকা সার্ভভোমত্য বিরোধি জামাক বিএনপি আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করতে বার বার হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তার পরেও তারা এদেশের স্বাধিনতা সার্ভভোমত্যের কোন ক্ষতি করতে পারেনি । কারন তারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুচিব কে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি । আপনারা দেখছেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, আজকের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ।
Tags
রাজনীতি






