নুরুল করিম (মহেশখালী) প্রতিনিধিঃকক্সবাজার জেলার উত্তর-পশ্চিম পাশে বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা দ্বীপটির নাম মহেশখালী। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। এখানে ছোট ছোট আরও কয়েকটি দ্বীপ জেগে উঠছে। ১৫০ বর্গমাইলের দ্বীপটি ১৯৫৪ সালে থানা এবং ১৯৮৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর উপজেলা ঘোষণা করা হয়। দ্বীপটিতে বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। এ দ্বীপে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে মানুষের জানমাল রক্ষায় ঢালের ভূমিকা পালন করে সৃজিত প্যারাবন কেটে অবৈধ চিংড়ি ঘের নির্মাণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান।
শনিবার (২৩ শে মার্চ) সকালে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে ঘটিভাঙ্গায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মীকি মারমা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছবীর হোসেন, পুলিশ ও আনসার এর নেতৃত্বে এ যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও অবৈধভাবে এক্সকেভেটর দিয়ে ভূগর্ভের মাটি উত্তোলন ও প্যারাবন ধবংস করে নতুন করে চিংড়ি ঘের নির্মাণ করার অপরাধে বড় মহেশখালী ফকিরাঘোনার মৃত আব্দুল গনির পুত্র আবুল হোসেন ও আলা উদ্দিনের পুত্র এমদাদুল হক কে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এ ২ জনকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা প্রতিবেদক'কে জানান,দিনে-রাতে প্রকাশ্যে প্যারাবনের লাখ লাখ গাছ নিধন উদ্বেগের। প্রভাবশালী ভূমিগ্রাসীচক্র রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশ্রয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বনবিভাগের বাঁধা উপেক্ষা করে কেটে যাচ্ছে নির্বিচারে প্যারাবন কেটে যারা চিংড়ি ঘের করছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় লোকজন জড়িত। তারা রয়েছেন পর্দার অন্তরালে।
মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা বলেন প্যারাবন দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে প্যারাবন নিধনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং সর্ব সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।