নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বাধীন ভাবে চলার ও কথা বলার যে স্বপ্ন দেখেছিল সাধারণ মানুষ তা এখন রুপকথার মহাকাব্যে পরিণত হয়েছে। এর কারণ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কিছু লাগামহীন কর্মীর পৈশাচিক নির্যাতন, চাঁদাবাজি, দখলবাজি,মারধর, লুটতরাজ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রবণতা। এই দৃশ্যের ব্যতিক্রম নয় কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্র গোপালপুর গ্রাম।ক্ষুদ্র গোপালপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন নাগরিকের নিকট থেকে চাঁদা দাবি,মারধর ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে কাশিনাথপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা'র বিরুদ্ধে।
গোপালপুর গ্রামের বিভিন্ন জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করতে মাসুদ রানা প্রয়োগ করছে সকল শক্তি ও কৌশল। তার কথা মানতে অস্বীকৃতি জানালেই সাধারণ জনগণকে করছে মারধর, দিচ্ছে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা। এলাকায় তার প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে সকল নির্যাতন সহ্য করেও নিশ্চুপ রয়েছে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। তবে সম্প্রতি তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ক্ষুদ্র গোপালপুর গ্রামের মো: জানু মিয়ার স্ত্রী জাহানারা (৫২)।
সাঁথিয়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, ০৭ ডিসেম্বর বিকেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাসুদ ভুক্তভোগী জানু ও আসিফ দের মারধর করে। শুধুমাত্র মারধর করেই ক্ষ্যান্ত না থেকে সাঁথিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। এমনকি তাদেরকে প্রতিনিয়ত দেওয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। এতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অভিযুক্ত মাসুদ রানার হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী পরিবার। সেই সাথে বসবাস উপযোগী ক্ষুদ্র গোপালপুর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে যুবদল নেতা মাসুদ রানার শাস্তির দাবি জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
