বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় মো.আক্কাস আলীকে ঊষ্ণ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে মনিগ্রাম ইউপির সর্বস্তরের মানুষ। নির্বাচনে আক্কাস আলী বিপুল ভোটের ব্যবধানে পৌর মেয়র পদে পুন:র্নির্বাচিত হওয়ায় মনিগ্রাম জয় বাংলা কেবল নেটওয়ার্ক এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি ) দুপুরে আক্কাস আলীকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী, মনিগ্রাম বাজার কমিটির সভাপতি ( সাবেক) আ: গনি, সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, রাজশাহী বিভাগ দলিল লেখক সমিতির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক স্বপন, সাবেক ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর হোসেন শ্যাম্পু,পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর (সাবেক) সাইফুল ইসলাম টগর, গড়গড়ি ইউপি যুবলীগ সভাপতি মুনসুর রহমান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি (সাবেক) ছানোয়ার হোসেন সুরুজ ও মাইনুল ইসলাম মুক্তা, প্রভাষক মুন্জুর কাদির, সেলিম রেজা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ সোনা, ঠিকাদার শাহ জামাল লিটন, ছাত্রনেতা মাখন আলী, রাসেল, সাহাবুল,সুলতান,সজল,মনি প্রমুখ।
অভিনন্দন ও ফুলের শুভেচ্ছা পেয়ে নবনির্বাচিত মেয়র আক্কাস আলী উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি পৌরবাসীর ভালোবাসায় কৃতজ্ঞ। আপনারা জানেন, বিগত নির্বাচনের মতো গত ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও আমাকে দাবিয়ে রাখতে একটি পক্ষ নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। নির্বাচনে আমার প্রচার প্রচারনায় বাধাদানসহ নিজেদের সাজানো মামলায় আমার ও আমার কর্মিসমর্থকদের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ভেদ করে জনগন আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের দুর্নীতি ও অপকর্মের জন্য যারা গনবিচ্ছিন্ন হয়েছেন, জনগন যাদের প্রত্যাখান করেছেন, তারা আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারীদের মিথ্যা বানোয়াট মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করছেন। আমি নাম না নিলেও কাদের উদ্দেশ্যে আমার এ কথা তারা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। আমি তাদের সাবধান করে জানিয়ে দিতে চাই, অনেক ষড়যন্ত্র করেছেন, আর না। এবার আপনারা ক্ষ্যান্ত হন। আপনারা নিজেদেরকে আওয়ামীলীগার দাবি করে পদ পদবি নিয়ে বসে আছেন, অথচ আজকের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করে কৃষি জমিসহ বাগ বাগান উজার করে পুকুর খনন করে নিজেদের পকেট ভরছেন। আপনারা তদবির বানিজ্যসহ নানানমুখী দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে নিজেদের পকেট ভরছেন। আপনাদের মুখোশ আজ খুলে দেবার সময় এসেছে।
আপনাদের প্রতি আমার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলাম, আমি বিগত দিনে এই পৌরসভায় বার বছর মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। আমি দীর্ঘসময় এই জনপদের আওয়ামী রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যদি একটি দুর্নীতি, একটি অনিয়ম দেখাতে পারেন আমি তাকে পুরস্কৃত করব।
নিজেরা অপরাধ করবেন, আর সেই দোষ চাপাবেন অন্যের ঘারে, এ দিন শেষ। পৌর নির্বাচনে জনগন যেভাবে আপনাদের প্রত্যাখান করেছেন, আগামীতেও আপনাদের প্রত্যাখান করবে। তাই সংশোধন হয়ে দুর্নীতি স্বজনপ্রিতি ছেড়ে সঠিক পথে আসুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মান বাঁচান নৌকার মান বাঁচান।
সবশেষে তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করেন। পরিশেষে পৌরবাসীসহ সবার দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করে পৌর উন্নয়নে মানুষের জন্য কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে একটি সুন্দর পৌরসভা উপহার দেবার ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ২৯ ডিসেম্বর। এ নির্বাচনে সতন্ত্র মোড়কে জগ প্রতীকে ১২ হাজার ৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয় জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য ও সাবেক মেয়র আক্কাস আলী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামীলীগ মনোনীত পৌর যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক নৌকা প্রতীকের শাহিনুর রহমান পিন্টু। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ১শত ৮৭ ভোট। এছাড়াও মেয়র পদে পৌর জামায়াতের আমির নারিকেল গাছ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম ৩ হাজার ৪ শত ৮৫ ভোট , পৌর বিএনপির সভাপতি কম্পিউটার প্রতীকে কামাল হোসেন ১ হাজার ৯ শত ৮৩ ভোট এবং মোবাইল প্রতীক নিয়ে ইসরাফিল হোসেন নামে ডেকোরেটর ব্যবসায়ী পেয়েছেন ৪ শত ২২ ভোট।পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩১৬৬৯ জন। নির্বাচনে ৭৭.২৭% অর্থাৎ ২৪১৫৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
