বাঘা (রাজশাহী) সংবাদদাতাঃ রাজশাহীর বাঘায় স্কুল কমিটির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৯জন আহত হয়েছে।রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এঘটনা ঘটে।
জানাযায়, বাউসা ইউনিয়ন বিএনপি'র নেতা রেজাউল করিম দলবল নিয়ে লোকমান পুর কলেজের প্রভাষক বিপ্লব হোসেনকে আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচন করার জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে আসেন।
এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশ তার লোকজন নিয়ে তাদেরকে নিষেধ করলে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন, আড়পাড়া গ্রামের মুনসাদের ছেলে মানিক (৪০), বাউসা হেদাতিপাড়া গ্রামের তফেজের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮), তেঁতুলিয়া গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে জাফর (৪০), আড়পাড়াগ্রামের গাজীউর রহমানের ছেলে বাবুল (৩৩), একই গ্রামের মানিকের ছেলে রোহান (২৩), বাউসা মাছপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে রানা (১৮), একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এনামুল (৪০), আড়পাড়া গ্রামের মকবুলের ছেলে শিখুন (২২), একই গ্রামের জালালের ছেলে রাজু আহমেদ (২৯)। এদের মধ্যে মানিক ও রফিকুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ বিষয়ে বাউসা ইউনিয়ন বিএনপি'র নেতা রেজাউল করিম জানান,ইউনিয়নের নয় ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে প্রভাষক বিপ্লব হোসেনকে আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি করার জন্য আবেদন জমা দিতে আসলে স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশ তার লোকজন নিয়ে আমাদের পর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের অন্তত ৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে ।
বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশ জানান, আমার বাবা এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন, আমি সভাপতি হওয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা দিয়েছি এটাই হল তাদের ক্ষোভ। বিএনপি নেতা রেজাউল করিম ইউনিয়নের বিভিন্ন মাস্তান নিয়ে তারা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে এসময় আমরা এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করি।
এ বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমান জানান, বোর্ডের নির্দেশ ক্রমে আমি গত ২ জানুয়ারি স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশ এবং বিএনপি নেতাও পল্লী চিকিৎসক ডাঃ মহসীন আলীর নামের তালিকা সভাপতি নির্বাচনের জন্য জমা দিয়েছি। কিন্তু আজকে উপজেলায় মিটিংয়ে থাকা অবস্থায় জানতে পারি বাউসা ইউনিয়ন বিএনপি'র নেতা রেজাউল করিম তার দলবল নিয়ে প্রভাষক বিপ্লব হোসেনকে সভাপতি করার জন্য স্কুলে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন পলাশ তাদেরকে বাধা দিলে এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ খবর শুনে আমি ইউএনও স্যারকে জানালে বাঘা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাঠিয়ে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে সেখানকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে। তবে আমার প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু চেয়ার ও একটি ল্যাপটপ ভাঙচুর করেছে। যেগুলো আলামত হিসেবে প্রশাসন ছবি তুলে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান,খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার জানান,খবর শোনার পর সেখানে বাঘা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছিল বর্তমান সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।